দখলদার ইসরায়েলের বর্বরতায় নিদারুণ দুর্ভোগে পড়েছেন ফিলিস্তিনের গাজাবাসী। সেখানকার মানুষ খেয়ে না খেয়ে দিন-যাপন করছেন। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ তুলে এনেছে গাজার এক মা ও তার শিশু সন্তানদের করুণ জীবন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) সংস্থাটির প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বাধ্য হয়ে নিজের অবুঝ সন্তানদের ময়লা ও বাসি রুটি খাওয়াচ্ছেন তিনি।
নিরাপত্তার জন্য হানাদি নামের এ মা এখন গাজার খান ইউনিসের একটি করবস্থানের পাশে থাকছেন। তিনি জানিয়েছেন, দখলদার ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় খাবারের দাম অনেক বেড়ে গেছে। সঙ্গে খাবার দুষ্পাপ্র হয়ে পড়েছে। এ কারণে বাধ্য হয়ে তিনি নিজের শিশু সন্তানদের এ ধরনের খাবার খাওয়াচ্ছেন।
তিনি বলেন, “আমি এখন খান ইউনূসের একটি কবরের পাশে থাকছি। কবরে থাকা ব্যক্তিরা মৃত। আর আমরা জীবিত। কিন্তু সত্য হলো আমরা তাদের মতো মৃত।” রুটিগুলো দেখিয়ে তিনি বলেন, “এগুলো হলো শুকনো রুটি। পুরো এক বাক্স। আমি কখনো আশা করিনি এই রুটিগুলো আমি আবারও ব্যবহার করতে যাব। কিন্তু এখানে আমরা এগুলো খাচ্ছি। যেগুলোতে কম ময়লা পড়েছে সেগুলো আমি নেই। এরপর ময়লা পরিষ্কার করে সেগুলো চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে আমার সন্তানদের খাওয়াই। এছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।”
তিনি আরও বলেন, “গাজায় এখন ডিম নেই। যদি কোথাও পাওয়া যায় সেগুলোর অনেক দাম। দুধের দাম ৫০ শেকেল। দুধ কেনার সামর্থ আমার নেই।”
নিজের সবচেয়ে ছোট সন্তানের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমার ছোট একটি শিশু আছে। কিন্তু আমি তাকে দুধ খেতে দিতে পারি না। তার ভাইবোনকেও দিতে পারি না। আমি তাকে গুঁড়া চাউল-সুজি খাওয়াতাম। কিন্তু ইসরায়েলিরা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর এগুলো সব খুবই দামী ও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। তার ওজন আগে ৭ দশমিক ৫ কেজি ছিল। কিন্তু আমি যখন তাকে টিকা দেওয়ার জন্য নিয়ে যাই তখন দেখি তার ওজন ৬ কেজিতে নেমে গেছে। যার অর্থ মাত্র ১০ দিনে তার ওজন দেড় কেজি কমে গেছে।”
إرسال تعليق