আজ ওপার বাংলার অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যের জন্মদিন। একদিন আগে কুম্ভ থেকে পুণ্যস্নান করে এসেছেন। তাই সব মিলিয়ে এ বছরের জন্মদিনটা বেশি স্পেশাল তার কাছে। প্রতি বছর শাশুড়ি মায়ের হাতের রান্না করা খাবার খেয়ে জন্মদিন কাটে অপরাজিতার।
এবছরও ঠিক এর ব্যতিক্রম হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অপরাজিতা বলেন, ‘মা যা রান্না করে দেয়, সেটাই আমার কাছে অমৃতের মতো। তাই মা রান্না করলে আমিষ খাচ্ছি না নিরামিষ সেসব ভেবে দেখি না।’
স্বামী এবং নাচের স্কুলের এক ছাত্রীর পরিবারকে নিয়ে কুম্ভে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অপরাজিতা জানিয়েছেন, গুরুজির ছেলের শিবির ছিল কুম্ভে। গুরুজির ডাকেই কুম্ভে যাওয়া তার।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘কুম্ভে গুরুজির ছেলের শিবিরে যাওয়ার আমন্ত্রণ ছিলই। কিন্তু আমার রেজিস্ট্রেশন ছিল না। এদিকে এয়ারপোর্ট থেকে আর কোনও গাড়ি যেতে দিচ্ছিল না। তাই ১০ কিলোমিটার হেঁটে টেন্টে পৌঁছেছিলাম। যমুনায় প্রদীপ ভাসিয়ে দারুণ কেটেছিল দিনটা। দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে, আজীবন মনে থাকবে।’
ত্রিবেণি সঙ্গমে ডুব দেওয়া, মাথায় গেরুয়া ওড়না বাঁধায় সকলের তাকে মাতাজি ভেবে ভুল করা, গুরুজির আমন্ত্রণ, এই সব কিছু জন্মদিনের উপহার বলে মনে করেন অপরাজিতা।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এই সব কিছুই আমার জন্মদিনের উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন ঈশ্বর।’ স্বামীর কাছ থেকেও জন্মদিনে বিশেষ উপহার পেয়েছেন তিনি। অপরাজিতা বলেন, ‘ও তো ভ্যালেন্টাইনস ডে’র দিনেই কানের দুল দিয়েছে। ওটাই নাকি জন্মদিনের উপহারও।’
إرسال تعليق