‘রাতে সাইফ আলী খান হাসপাতালে আসার পর আমিই সেই চিকিৎসক ছিলাম, যার সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয়ছিল। তিনি পুরো রক্তাক্ত ছিলেন। তাঁর সারা শরীর দিয়ে রক্ত ঝরছিল, কিন্তু তিনি সিংহের মতো হেঁটে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিল ছয়-সাত বছরের ছোট্ট তৈমুর।’ বলছিলেন লীলাবতী হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী নীরজ উত্তমণি। তাঁর ভাষ্যে, ‘তৈমুরের হাত ধরে তিনি হাসপাতালে এসেছিলেন। বাস্তবেই তিনি হিরো। সিনেমার পর্দায় হিরোগিরি করা ঠিক আছে, কিন্তু ঘরে আপনার ওপর কেউ হামলা করল আর প্রকৃত হিরোর মতো তখন রুখে দাঁড়ানো এবং সেখান থেকে এভাবে বেরিয়ে আসা, মুখের কথা নয়।’
গত বুধবার মধ্যরাতে হঠাৎ আক্রমণ করা হয়েছিল সাইফ আলী খানের ওপর। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজের বাসাতেই অভিনেতার ওপর হামলা চালিয়েছিল এক অজ্ঞাতনামা। ছুরি দিয়ে একের পর এক কোপ বসানো হয়েছিল সাইফের শরীরে। সারা শরীর রক্তে ভেসে গিয়েছিল অভিনেতার। এরপর সাইফকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সারা দিন ধরে বিভিন্ন জনপ্রিয় সাইটের খবর ছিল সাইফ-অমৃতার পুত্র ইব্রাহিম আলী খান অভিনেতাকে অটো করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এ ব্যাপারে আজ চিকিৎসক নীরজ উত্তমণি আসল তথ্যটি গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, সাইফের সঙ্গে তাঁর ছেলে তৈমুর ছিল।
সাইফের শরীরের বিষয়ে চিকিৎসক নীরজ উত্তমণি জানিয়েছেন, ‘সাইফ এখন ভালো আছেন। তাঁর সব প্যারামিটার ঠিক আছে। আইসিইউ থেকে তাঁকে স্পেশাল রুমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আমরা আপাতত তাঁর সঙ্গে কাউকে সাক্ষাৎ করতে দিচ্ছি না। আমরা চাই, উনি বিশ্রাম নিক। অনেক ধকল গেছে। ইনফেকশনের ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে।’
নিউরোসার্জন নিতিন ডাঙ্গে আর তাঁর দল সাইফের অস্ত্রোপচার করেছে। চিকিৎসক নিতিন জানিয়েছেন যে শুক্রবার সাইফকে হাঁটাচলা করানো হয়েছে। আর তাঁর হাঁটতে কোনো অসুবিধা হয়নি। চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন যে আজ সাইফকে সাধারণ খাবার দেওয়া হয়েছে।
Post a Comment