অনেক দিন পর বড় পর্দায় ফিরেছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। সোনু সুদ অভিনীত ও পরিচালিত ‘ফতেহ’ ছবির মূল নায়িকা এই শ্রীলঙ্কান অভিনেত্রী। ছবিটি বক্স অফিসে সেভাবে না চললেও সোনু ও জ্যাকুলিনের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।
ছবিতে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ অভিনীত চরিত্রের নাম ‘খুশি শর্মা’।
কমনীয়তা ও কঠোরতা এই দুইয়ের সংমিশ্রণে সৃষ্ট এক ব্যতিক্রমী চরিত্র। ‘খুশি’ চরিত্রের সঙ্গে কোথাও নিজের মিল খুঁজে পান জ্যাকুলিন।
নিজের অভিনীত চরিত্রের প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘আমি এমন এক তরতাজা চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলাম, যার মধ্যে বুদ্ধি ও কৌতুক দুইয়ের মিশ্রণ আছে। চরিত্রের সরলতা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। চরিত্রটির সঙ্গে নিজেকে কিছুটা মেলাতে পেরেছি।’
‘খুশি’ চরিত্রের জন্য দর্শকের প্রশংসাসূচক বার্তা পাচ্ছেন জ্যাকুলিন, ‘দর্শকের কাছ থেকে দারুণ প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। দর্শকের প্রশংসায় আমার মন ভরে গেছে। এই ভালোবাসায় আমি আপ্লুত। আর এমন এক চরিত্রের কারণে দর্শকের ভালোবাসা পাচ্ছি, যা আমার হৃদয়ের অনেক কাছের। আর এ চরিত্র কোথাও কোথাও নিজেকে খুঁজে বের করতে সাহায্য করেছে।’
আগামী দিনে জ্যাকুলিনকে ‘হাউসফুল ৫’, ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’ ছবিতে দেখা যাবে। পেশাগত দিক থেকে ধীরে ধীরে আবার কক্ষপথে ফেরার চেষ্টা করছেন অভিনেত্রী। ব্যক্তিগত জীবনে নানান ঝড়ঝাপটা যাচ্ছে গত কয়েক বছর। বিশেষ করে প্রতারণার অভিযোগে কারাবন্দী সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নিয়ে প্রায়ই খবর হচ্ছে। এসব ঝড়ঝাপটা কীভাবে সামলান?
জ্যাকুলিনের জবাব, ‘ইতিবাচক থাকা এমন এক অভ্যাস, যা আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে। এর মধ্যে অনেক শক্তি লুকিয়ে থাকে।’ এই অভিনেত্রী মনে করেন, ‘নেতিবাচক’ চিন্তাভাবনা মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। অনুরাগীদের কাছে প্রত্যাশা কী, জানতে চাইলে জ্যাকুলিন বলেন, ‘কিছু না ভেবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধুমধাম করে আমরা কিছু লিখে দিই, কিন্তু এর প্রভাব যে কতটা ক্ষতিকর হতে পারে, সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।’
অভিনয় ক্যারিয়ার বেছে নিয়ে আফসোসে পোড়েন কি না, জানতে চাইলে জ্যাকুলিন বলেন, ‘অভিনেত্রী হওয়া আমার সিদ্ধান্ত ছিল। এখন চাইলেও অতীতে ফিরে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত বদলাতে পারব না। সব পেশার ভালো-মন্দ দুই দিক-ই আছে। জনপ্রিয়তা আমাকে প্রভাবিত করে না। আমি শুধুই জ্যাকুলিন, আর খ্যাতি কখনোই আমার পরিচয় হতে পারে না।’
Post a Comment