বুধবার গোটা শহরে ক্রিকেট জ্বর। ইডেন গার্ডেনে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের দ্বৈরথ। সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয় ম্যাচ। ঠিক তার আগমুহূর্তেই আজব এক ঘটনা ঘটে গেল স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সহকারীর সঙ্গে।
ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের টিকিট নিয়ে ‘উধাও’ ডেলিভারি ম্যান। সংশ্লিষ্ট অনলাইন প্রতিষ্ঠানকে তুলোধনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ঘটনা তুলে ধরলেন অভিনেত্রী।
অনলাইন ডেলিভারি সংস্থা স্যুইগির সাহায্যে বুধবারের ম্যাচের দুটি টিকিট আনাচ্ছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সহকারী সৃষ্টি। তবে অভিযোগ, মাঝপথেই নাকি সেই টিকিট দুটি নিয়ে চম্পট দেয় ওই ডেলিভারি ম্যান।
এদিকে ঘটনার ১৩ ঘণ্টা পরেও চুপ স্যুইগি। লাপাতা ওই ডেলিভারি বয়ও। সংস্থার নিয়মানুযায়ী অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শেষমেশ সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়ে সহকারীর সঙ্গে ঘটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা নিজেই শেয়ার করলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
পাশাপাশি অভিনেত্রী সকলকে সাবধান করে দিলেন, ‘আজ আমাদের সঙ্গে ঘটেছে, কাল আপনাদের সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। আজই সাবধান হোন।’
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের পোস্ট থেকেই জানা গেল, তার সহকারী বুধবার ইডেনে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের দুটি টিকিট আনাচ্ছিলেন। সৃষ্টি তার বাবার জন্যই এই টিকিট কেনেন, যিনি কানপুর থেকে উড়ে এসেছিলেন কলকাতায় ম্যাচ দেখার জন্য।
অন্যান্য অনেক অ্যাপ ব্যবহারকারীর মতো, স্বস্তিকার সহকারীও ভরসা করেছিলেন স্যুইগির উপর। কারণ এই অ্যাপে এক জায়গা থেকে কোনও জিনিস নিয়ে অন্যত্র পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। যা কিনা ‘স্যুইগি জিনি’ নামে পরিচিত।
ম্যাচের টিকিট দুটি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল নিউটাউনে। উপরন্তু সংশ্লিষ্ট অ্যাপে ডেলিভারি বয়কে ট্র্যাক করার অপশনও রয়েছে। অতঃপর যতক্ষণ না তিনি যথাস্থানে জিনিস পৌঁছে দেবে, ততক্ষণ চলতে থাকে এই ট্র্যাকিং। কিন্তু এখানেই ঘটে বিপত্তি!
টিকিট দুটি নেওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই, সঠিক স্থানে পৌঁছনোর পরিবর্তে ফোন ধরা বন্ধ করে দেন ওই ডেলিভারি ম্যান। একাধিকবার বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কিছুক্ষণ পরে জানা যায়, স্বস্তিকার সহকারী সৃষ্টি এবং যার থেকে এই টিকিট নিয়েছিলেন তিনি, সেই দুটি নম্বরই ব্লক করে দিয়েছেন ওই ডেলিভারি ম্যান।
অভিযোগ, দুটি টিকিটই নিজে নিয়ে চম্পট দেয় ওই ডেলিভারি বয়। অথচ অ্যাপে দেখানো হচ্ছে, দুটি টিকিটই যথাস্থানে, যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বস্তিকা। ইনস্টাগ্রামে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে ডেলিভারি ম্যানের প্রতারণার চিত্রটি তুলে এমন অপরাধের বিচার চেয়েছেন তিনি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন