একে তো কনকনে শীত। গাজীপুরের পুবাইলে তখন ছিল হালকা কুয়াশা। এর মধ্যে আবার শুটিং, দৃশ্যটা পানির মধ্যে নামার। পুকুরের পানি এমনিতেই অনেক ঠান্ডা। সেই পানিতে শুটিং করতেও লাগবে দীর্ঘ সময়। কীভাবে অভিনয়শিল্পীদের দীর্ঘ সময়ের জন্য পানিতে থাকতে বলবেন, এ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন পরিচালক সৈয়দ শাকিল। তবে পেশাগত জায়গায় কোনো ছাড় দেননি কেউ।
কথা হয় নির্মাতা সৈয়দ শাকিলের সঙ্গে। জানান, দৃশ্যটা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। কারণ, এসব অভিনয়শিল্পী শহরের বাসিন্দা। তাঁদের গ্রামের পুকুরে নামার অভিজ্ঞতা কম। এর মধ্যে আবার পুকুরে কচুরিপানা। শরীরে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। এসব চিন্তার মধ্যে অভিনয়শিল্পী এজাজুল ইসলাম, মীর সাব্বির, আরফান আহমেদ ও আলমগীর সহযোগিতা করেন।
এই পরিচালক বলেন, ‘অভিনয়শিল্পীরা সহযোগিতা না করলে শুটিংই করা হতো না। সবাইকে ধন্যবাদ এই শীতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় পানিতে নেমে শুটিং করার জন্য। এটা অনেক কঠিন কাজ। এই শীতে ডুব দিয়ে পুকুরের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যাওয়া সহজ নয়। তারপর তাঁদের হাত ছিল দড়ি দিয়ে বাঁধা। সাঁতার দেওয়াও কঠিন ছিল।’
ফজলুল হকের রচনায় ধারাবাহিক এই নাটকের নাম ‘বোকা পরিবার’। সেই পরিবারের সদস্য এই চার অভিনেতা। যারা পাঁচ টাকার জুয়ার খেলাকে কেন্দ্র করে ঘটনাক্রমে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। মজার সব ঘটনা নিয়ে নাটকটি।
এই পরিচালক জানান, পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করে চার যুবক। কোনো পথ না পেয়ে কৌশলে গ্রামের পুকুরে নেমে পড়েন। কিন্তু হাতে দড়ি থাকায় পালাতে সুবিধা করতে পারেননি। নাটকটি আরটিভিতে নিয়মিত প্রচার হচ্ছে। এটি শুক্র থেকে রোববার পর্যন্ত তিন দিন দর্শকেরা দেখতে পারবেন।
পরিচালক সৈয়দ শাকিল নাটকের গল্প নিয়ে বলেন, গ্রামের সহজ সরল একটি পরিবারের সদস্যরা নানা রকম বোকামি করে। এই বোকামির কারণে তৈরি হয় জটিলতা। সেই বিষয়গুলোই সচেতনতার সঙ্গে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। দর্শকেরা পছন্দ করছেন। নাটকে আরও অভিনয় করেছেন আবদুল্লাহ রানা, তাহমিনা মৌ, নাদিয়া আহমেদ, সাজু খাদেম, শিরিন আলম, মাইমা আলম, রিমি করিমসহ অনেকে।
Post a Comment