নতুন নাটক দিয়ে বছর শুরু করেছিলেন অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান। পরে নতুন বছরে শুটিং শুরু করতে গিয়ে অসুস্থ হন তিনি। ছয় দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত সপ্তাহেই সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। এর মধ্যে নতুন সুখবর দিলেন এই অভিনেতা। বছরের প্রথম নাটক দিয়েই জায়গা করে নিয়েছিলেন ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে। এবার সেই নাটক ইউটিউবে দুই সপ্তাহে এক কোটি ভিউ হয়েছে।
বর্তমানে এই অভিনেতা ব্যস্ত ভালোবাসা দিবসের নাটক নিয়ে। তাঁর কথায় বোঝা গেল বছরটা ভালো যাবে, সেভাবেই এগিয়ে চলছেন।
এখন নাটকের ভিউয়ের যে অবস্থা, সেখানে আমার নাটকটি অল্প সময়ে কোটি দর্শক দেখেছেন। এটা অনেক ভালো লাগার কথা। বছরের শুরুটাই ভালো দিয়ে। এই সবই দর্শকদের ভালোবাসা। এগুলো আমাকে সব সময় পরবর্তী কাজ করতে আগ্রহ জাগায়।’ বলেন মুশফিক।
মুশফিক জানান, প্রতিটি কাজ নিয়েই প্রত্যাশা থাকে অনেক বেশি। এর কারণ, একটি কাজ দীর্ঘ সময় ধরে শুটিং করা হয়। একটা নাটকের চিত্রনাট্য নিয়ে চার থেকে পাঁচবার পরিচালকের সঙ্গে বসেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখন নাটকের সংখ্যার চেয়ে মানের দিকে গুরুত্ব বেশি দিচ্ছি। যে কারণে আলাদা করে গল্প ভাবনায় যুক্ত থাকছি, শুটিংয়ে প্রি-প্রোডাকশনে সময় দিচ্ছি। আমার কস্টিউম চরিত্র অনুযায়ী কী হবে, সেগুলো কিনতে হচ্ছে। এত পরিশ্রম করার পরে যখন কোনো কাজ নিয়ে আলোচনা হয়, তখন ভালো লাগে।’
নাটকের ভিউ নিয়ে তেমন একটা ভাবেন না। মুশফিক বলেন, ‘সেখানে আমাদের পরিশ্রম করা নাটক যখন ট্রেন্ডিংয়ে জায়গা করে নেয়, তখন মনে হয় দর্শকদের কিছুটা হলেও বিনোদন দিতে পারছি। কারণ, তাঁদের পছন্দের কথা মাথায় রেখেই গল্পটি নির্বাচন করার চেষ্টা করি। সেই কাজের ছোট ছোট রিলস, কোনো সংলাপ নিয়ে কথা বললে অভিনেতা হিসেবে আমার খাতায় প্রাপ্তি যোগ হয়।’
গত আগস্টে সরকার পতনের পরে একের পর এক নাটকের ভিউ কমতে থাকে। এ সময়ে কিছু নাটক ভালো করলেও সেখানে ছিলেন না মুশফিক। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় তাঁর খুব বেশি কাজ সাম্প্রতিক মাসগুলোয় মুক্তি পায়নি।
তবে ভালোবাসা দিবস ও ঈদের কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তবে গত বছরের ভিউয়ে শীর্ষ ১০ নাটকের চারটিতেই ছিল এই অভিনেতার নাম। ইউটিউব ট্রেন্ডিং নিয়ে কতটা ভাবেন? এমন প্রশ্নে এই অভিনেতা বলেন, ‘আমার প্রতিটি কাজই আমার সন্তানের মতো। আমি সব সময় চাই আমার সন্তান ১, ২, ৩ নম্বরেই থাকুক।’
‘সুইট ফ্যামিলি’ নাটক পরিচালনা করেছেন মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম। নাটকে ফারহানের সহশিল্পী অর্চিতা স্পর্শিয়া।
إرسال تعليق