এক্স বয়ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা হলে কী করেন পরীমনি | Pori Moni News | Media News | radioshohor News

এক্স বয়ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা হলে কী করেন পরীমনি | Pori Moni News | Media News | radioshohor News




ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে নিয়ে আলোচনা–সমালোচনার শেষ নেই। তবে এসবে তোয়াক্কা করেন না তিনি। নিজের মতো করে চলেন। যখন যেভাবে মন চায়, সেভাবেই জীবনকে উদ্‌যাপন করেন। ১০ বছর ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করছেন। এই সময়টায় পরীমনির প্রেম আর বিয়ে নিয়েও কম আলোচনা হয়নি। প্রেমের সম্পর্কের কারণে আলোচনায় আসা পরীমনি জানালেন, প্রেমে পড়লে তাঁর কী অবস্থা হয়।

সম্প্রতি ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে পরীমনি অভিনীত ‘রঙিলা কিতাব’। এই সিরিজে পরীমনির অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। শিগগিরই কলকাতায় মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে এই তারকার একটি চলচ্চিত্র। ‘ফেলুবক্সী’ নামের সেই সিনেমায় পরীমনির সহশিল্পী কলকাতার সোহম চক্রবর্তী। এসবের মধ্যে তিনি কথা বললেন প্রেম, বিয়ে ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে।

১০ বছরের অভিনয়জীবনে পরীমনির সঙ্গে চিত্রনায়ক শরীফুল রাজের বিয়ে হয়েছে। সে বিয়ে টেকেনি। এর আগে একাধিক বিয়ের জন্য খবরের শিরোনাম হয়েছেন পরীমনি। এই তারকা বললেন, ‘আমার নায়কদের সঙ্গে প্রেম হয় না। বিয়ে, বাচ্চাটাচ্চা হয়ে শেষ।’

এখন প্রেম করার সময় নেই পরীমনির, কথা প্রসঙ্গে এমনটাও জানালেন। তবে প্রেমে পড়লে বা প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেলে কী হয় তা বললেন এভাবে, ‘প্রেম আমার ওপরে পড়লে, জাস্ট পিষে যাই। প্রেম ভেঙে গেলে তা নিয়ে পরে আমার অবশ্য অনুশোচনাও হয় না। প্রেমে সঠিক–ভুল এটাও বুঝি না। আমার কাছে জীবনটা আসলে এমন একটা জার্নি, আমরা যদি জেনে যেতাম কী হবে, কেমন হবে, কবে হবে, কোথায় যাব, কী করব—যা–ই ভাবি, সে রকম কিছু কি হয়? হয় না তো। তাই সবকিছু মিলিয়ে আমার জীবন। কোনো কিছু নিয়ে আমার অনুশোচনা নেই। আফসোস নেই। আমার জীবনে কত কী হয়ে গেল। এত কিছু হয়ে যাওয়ার পরও তো আমি আমিই রয়ে গেলাম। আমি তো মরে যাইনি। আমার জীবনে যা ঘটেছে, আমার তো পাগলটাগল হয়ে যাওয়ার কথা। সবাই আমাকে এত স্ট্রং বলে। আমি আসলে জীবনকে অনেক সহজ করে দেখি।’  

তাই বলে কি দুঃখ–কষ্ট হয় না পরীমনির? এমন প্রশ্নে তিনি বললেন, ‘আমারও দুঃখ হয়, কান্না পায়। আমিও তো মানুষ। মানুষের মতো আমার রাগ হয়। পরী বলে তো পরীদের মতো জীবনযাপন না আমার। মানুষের মতো জীবনযাপন। আমার যেটা হয়, আমি বাঁচতে খুব ভালোবাসি। জীবনটাকে খুব ভালোবাসি। যে জীবন ভালোবাসে, তাঁকে তো এগিয়ে যেতে হবে। এক জায়গায় দুমড়েমুচড়ে থাকার কোনো অর্থ হয় না। আমি সবার সঙ্গে কথা বলতে পারি না, আমার কথা বলার আলাদা জোন আছে। একজন মানুষের সঙ্গে আমি দু-চার মিনিটে বুঝে যাই, সেই মানুষটা কেমন। সেই মানুষের সঙ্গে আমার এক ঘণ্টা কথা বলার জায়গাটা আছে নাকি নেই। আমার যেখানে জমবে না, আমি ওখানে থাকিও না।’

কথায় কথায় পরীমনি জানালেন, তিনি খুব সাধারণ জীবন যাপন করার চেষ্টা করেন। বললেন, ‘আমার পাশে সে রকম মানুষ নেই, যে কাঁধে হাত রেখে সান্ত্বনা দেবে যে প্লিজ, কেঁদো না। আমার কান্নাটা নিজে নিজেই বন্ধ করতে হয়। আমার ছোট ছোট দুটো বাচ্চা, তাদের কথা ভাবতে হয়। যদি বুঝতাম আমরা কী চাই, তাহলে জীবনটা অনেক সাজানো–গোছানা থাকত, কোনো ভুল থাকত না।’

কাজ করতে গিয়ে কিংবা পথ চলতে দেখা হয় সাবেকদের সঙ্গেও। এই সময়টায় তাঁদের এড়িয়ে চলেন না বলেও জানালেন পরীমনি। বললেন, ‘এক্সদের সঙ্গে দেখা হয়। দেখা হলে ভুলে যাই, তাদের সঙ্গে প্রেম করেছি। আমি স্বাভাবিকভাবে কথা বলি।’ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নাগরিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন পরীমনি।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন