-রেডিও শহর ডেস্ক
, আটঘড়িয়া জমিদার বাড়ি
অবস্থান --- বাংলাদেশ এর সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি।
মূল জমিদার উৎসব নারায়ণ চক্রবর্তী। তাঁর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক হন চার পুত্র। জমিদার উৎসব নারায়ণ চক্রচর্তীর চার পুত্র হলেন হিমেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী (হিম বাবু), যোগেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী, ধীরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী এবং জ্ঞানেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী। বাবার মৃত্যুর পরে ছেলেরা কিছুদিন জমিদারির দেখভাল করার পরে মূল সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে অনিয়ম দেখা দেয়। কিছু কিছু বিষয়ে অনিয়মের কারণে কিছু সম্পত্তি দানকরণের কথা শোনা যায়।
জনশ্রুতি আছে, মূল জমিদার উৎসব নারায়ণ চক্রবর্তী জীবদ্দশায় তাদের কাজের মেয়ে কুলছুম বেগমকে কিছু জমি দান করেন। কিন্তু কি পরিমাণ জমি তাকে দেন, তার কোনো প্রমাণ নেই। এছাড়া তিনি স্থানীয় আটঘড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামেও ৬০ শতক জমি দান করেন। জমিদারপুত্রদের জমিদারী রক্ষণাবেক্ষণের টানাপোড়েনের সময় চলে দেশভাগ আন্দোলন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হয়ে গেলে জমিদারের চার ছেলে এবং পরিবারের সবাই দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যায়। এর পর বাড়িটি অরক্ষিত হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে জমিদরবাড়ির পুরোটাই বেদখল হয়ে যায়। উৎসব নারায়ণ চক্রবর্তীর জমিদারির মোট সম্পত্তির মধ্যে আটঘড়িয়াতেই ছিল এক হাজার বিঘা জমি। এছাড়া রায়গঞ্জ, তাড়াশ, সলঙ্গা এবং শেরপুরেও তাদের জমিদারির অংশ ছিল। যার সন্ধান অনেকের অজানা।
১৯৬২ সালে জমিদারবাড়িটি রেভিনিউ অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে, যা এসএ রেকর্ডের আওতায় ছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশে এসেছিলেন জমিদারপুত্র হিমেন্দ্র নারায়ণ চক্রচর্তী (হিম বাবু)। তখন তাঁর বয়স ছিল আনুমানিক ৭০ বছর। নিজেদের সম্পত্তির ভগ্নদশা এবং দখলদারিত্ব দেখে তিনি আবার চলে যান ভারতে।
#GOPIDAS
সৌজন্যে বাদুস পরিবার
ডেস্ক রিপোর্ট
إرسال تعليق