পূরান ঢাকা ঐতিহ্য সাধনা ঔষধালয় সম্পর্কে কতটুকু জানেন? না জানলে জেনে নিন

পূরান ঢাকা ঐতিহ্য সাধনা ঔষধালয় সম্পর্কে কতটুকু জানেন? না জানলে জেনে নিন


-রেডিও শহর ডেস্ক
 

আশি এর দশকে আনন্দ মেলায় সাধনা ঔষধলায় এর বিজ্ঞাপন 


শিক্ষাবিদ ও আয়ুর্বেদ শাস্ত্রবিশারদ, সাধনা ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ যোগেশচন্দ্র ঘোষ, মানুষকে রোগ থেকে স্বল্প মূল্যে মুক্তি দিতে এক রসায়নবিদ ও পাশ্চাত্যে বিদ্যাপ্রাপ্ত চিকিৎসক দেশীয় গাছপালা থেকে ওষুধ তৈরির কাজে আত্মনিয়োজিত হন । নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে তিনি ১৯১৪ সালে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী গেন্ডারিয়ায় ৭১ দীননাথ সেন রোডে বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে তোলেন ‘সাধনা ঔষধালয়’। শত বছরের ঐতিহ্যস্নাত প্রতিষ্ঠান সাধনা ঔষধালয় উপমহাদেশের আধুনিক আয়ুর্বেদ ঔষধালয়ের অন্যতম পথিকৃৎ এক প্রতিষ্ঠান, এর শেকড় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গেন্ডারিয়ায় হলেও তা একসময় ডানা মেলেছিল কলকাতা, চীনসহ ইউরোপ-আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে। বিপুল সাফল্যের কারনে এক সময় চীন ও উত্তর আমেরিকায় সাধনা ঔষধালয়ের শাখা বা এজেন্সী ছিল । 


অধ্যক্ষ ডাঃ যোগেশচন্দ্র ঘোষ ছিলেন সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ পরিবারের সদস্যের মতোই আপন করে নিতেন। শেষের দিকে খুব বেশি একটা বাইরে বেরোতেন না, শুধু নিজের পড়াশোনা আর গবেষণা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন, সকাল-বিকাল ঘরের সামনের খোলা ছাদে পায়চারি করতেন। প্রতিদিন ঘণ্টাখানেকের জন্য নিচে নেমে আসতেন; রোগী দেখতেন; ব্যবস্থাপত্র দিতেন। এছাড়া অফিস ও কারখানার কাজকর্ম তদারকি করতেন এবং ‘সাধনার বাঁদর’ বলে খ্যাত কুঠুরি মৃগয়াদের খাদ্য খাওয়াতেন। এই ছিল তাঁর দৈনন্দিন রুটিন।


১৯৭১, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাড়াটা জনশূন্য। কেমন যেন জমাট বাঁধা ভয়!  পুরনো ঢাকার গেণ্ডারিয়া, সূত্রাপুর এলাকার বেশির ভাগ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার বাসিন্দা পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদেরর ভয়ে যে যেভাবে পেরেছে বিভিন্ন স্থানে চলে গেছে; কিন্তু টলানো যায়নি অশীতিপর যোগেশবাবুকে।তিনি ১৭ বছরের পুরনো দুই বিশ্বাসী দারোয়ান সুরজ মিঞা আর রামপাল সহ তিনি পাকবাহিনীর হাতে প্রয়াত হন।

ডেস্ক রিপোর্ট 

সৌজন্যে বাদুস পরিবার 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন