-রেডিও শহর ডেস্ক
যেদিন শেষ দুটো ম্যাসেজ আনসিন করে ব্লক করে দিয়ে গেলে। , আমি ভালো থাকার রসদ বুঝে গেছিলাম।
চারদিন টানা গুমোট ঘরের কোনায় পরে থেকে শিখেছিলাম , দুঃখ প্রকাশ করার চেয়ে চেপে রাখার সুখ।
শিকড়সুদ্ধু গাছ উপরে ফেলতে যাবার সময় চেয়ে চেয়ে অনুভব করতে পেরেছিলাম , মানবতা কতটা মহান । আমি হতে পারিনি শুধু।
সময়ের থেকে একটু দেরি করে বাড়ি ফিরলে উন্মাদনায় কাঁপতাম , তোমার কাছে বিনা কৈফিয়তে থেকে যাবার প্রানপন চেষ্টায়।
তিনবেলার খোঁজ নেবার তাগিদ দেখতে পাই নি , তাও ভেবেছিলাম ব্যস্ত থাকাটাই তো স্বাভাবিক।
দূরত্বটা বহুদূরের ছিল , হয়তো পেরিয়ে পৌছাতেই পারিনি। যেভাবে তুমি চেয়েছিলে।
যতটা সাধ্য দিতে চেয়েছি তোমায় , নাওনি দেখে মনে করেছিলাম ভয় পাচ্ছো।
অথচ বিগত কয়েকটা মাস যাবত কোনো সংযোগ রাখার দরকার পরল না কারোর!!
হঠাৎ এসে বসলে এতটা কাছে ? প্রয়োজন হয়েছে আবার বোধহয়? ,
মানুষ কী তবে প্রয়োজন ছাড়া কাছে আসে না ? নাকি তুমিই আসো প্রয়োজনে ? ,
মেলা প্রশ্নের ভিড়ে হেঁটে হেঁটে চলে যাই আরো
দূরে। পালাতে চাই নি তবু আজ পলাতক।ক্ষতজমা সেই সমস্ত স্মৃতি , বিষাদ গুমোট ঘরের কোনা , নিস্তব্ধতায় ভেঙে টুকরো টুকরো হওয়া আমি , প্রতিপীড়নে জ্বলন্ত মস্তিষ্কের যন্ত্রণা ,
সবকিছুই ফিঁকে করে এগিয়ে এলাম।
তারপর হঠাৎই একদিন আবার উড়ে এলে ;
ক্লান্তিহীন “আমি” টা হঠাৎই বিদ্রহ করে বসে । কিন্তু আমি পারি না । নির্লজ্জের মত ছুটে আসি আবারো একই খোঁড়া মাটির কাছে। আবারো নিজেকে উপড়ে ফেলবার তাগিদে। তুমি শুষে নিও পুষ্টিরস , তারপরেই তো উৎক্ষেপণ।
--ঋজু 🍁
#পিন- CODE
ছবি- রাকেশ গায়েন
ডেস্ক রিপোর্ট Gwa
إرسال تعليق