-রেডিও শহর ডেস্ক
এইএইএই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ডায়লগটি কার!
‘পাশা ভাই’ নামের এক আধা কমেডিয়ান চরিত্রের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের কালের দুর্দান্ত এক কবি ও গীতিকার ! আড়াই দশক আগে যার সাথে দেখা করতে রাঙামাটি থেকে রাজধানী গিয়েছিলাম আমি !! ‘বাঈজী বাড়ির রোড’ ‘চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোল’ পড়ে জাগা মুগ্ধতার ঘোর আজো কাটেনি আমাদের ‘আমিতো প্রেমে পড়িনি,প্রেম আমার উপরে পড়েছে কিংবা লেইস ফিতা লেইস অথবা মীরাবাঈ বা তোমার চোখে দেখলে বন্ধু আকাশের নীল ভালো লাগেনা, বা ভেতর বলে দূরে থাকুক, বাহির বলে আসুক না ‘সহ দুর্দান্ত সব গানের গীতিকার, আমাদের তুমুল প্রেমের সন্ন্যাসী শব্দচাষী মারজুক রাসেলকে দেখে আফসোস লাগে ! তার এখনকার ‘দেহবন্টনবিষয় দ্বিপক্ষীয় চুক্তিনামা’ কিংবা ‘ছোট্ট কোথায় টেনিসবল’ বা ‘হাওয়া দেখি বাতাস খাই’ আর পাশা ভাই চরিত্র দিয়ে দিয়ে তাকে জাজ করা কঠিনই বৈকি !
জীবন হয়ত এমনই ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলায় কিন্তু কবি ও গীতিকার মারজুক যেনো অন্য উচ্চতায় বসবাস করা একজন ! তাকে নিয়ে সাহিত্যিক স্বকৃত নোমান একবার লিখেছিলেন, ‘মারজুক রাসেল আগে কবি, তারপর গীতিকার, তারপর অভিনেতা !’ আসলেই তাই এই প্রজন্মের তরুন তরুণীদের কাছে যে মানুষটি শুধুই একজন পাশা ভাই, সেই মানুষটি যে আমাদের বহু কবিতাপ্রেমি-গানপ্রেমির বড্ড স্বজন !
আমাদের প্রিয় কবি, প্রিয় গীতিকার মারজুক যেনো হারিয়ে না যায় হালের কোন চটুল নাটকের চলতি চরিত্রে আমাদের গীতিকবি বেঁচে থাক তার শব্দচাষে,বিনির্মাণেই কাটুক তার দিনলিপি।
কলমে #ফজলে_এলাহী
Post a Comment