জসিমের দোস্ত দুশমন সিনেমার পেছনের গল্প জানলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন

জসিমের দোস্ত দুশমন সিনেমার পেছনের গল্প জানলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন


-রেডিও শহর ডেস্ক
 

দোস্ত দুশমন 

মুক্তির তারিখ - ১৫ জুলাই, ১৯৭৭


 


দোস্ত দুশমন ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৭ সালের 

১৫ জুলাই। 

ছবির পরিচালক ও 

গীতিকার ছিলেন - দেওয়ান নজরুল। 

সংলাপ রচয়িতা - রাজু সিরাজ। 

সঙ্গীত পরিচালক - আলম খান। 

দোস্ত দুশমন ছবিতে অভিনয় করেছিলেন - 

সোহেল রানা, সুচরিতা, 

ওয়াসিম, শাবানা, 

আজিম, শওকত আকবর, 

জসিম। 

চিত্রগ্রাহক - অরুণ রায়। 

প্রযোজনা ও পরিবেশনা - জ্যাম্বস প্রোডাকসন্স প্রাইভেট লিমিটেড। 

ছবিটি ছিল অ্যাকশন ধরনের - 

তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো - ভারতের হিন্দি চলচ্চিত্র শোলের 

হুবহু কাহিনী নিয়ে এই ছবি নির্মাণ করেছিলেন 

চিত্র পরিচালক দেওয়ান নজরুল। 

ছবি দেখে দর্শকরা বলতে শুরু করলো, মাথায় মগজ থাকলে কি আর শোলের কাহিনী নিয়ে ছবি বানাতে হয়! 

বাংলাদেশে ভারতীয় ছবির প্রদর্শনী নিষিদ্ধ থাকায় এই দোস্ত দুশমন ছবিটি 

অভাবনীয় ব্যাবসা করার সুযোগ পেয়েছিল সেই ১৯৭৭ সালে। 

ওয়াসিম করেছিল ধর্মেন্দ্রর চরিত্রটি ; হেমা মালিনী শোলে ছবিতে যে চরিত্রটি করেছিল - সেই চরিত্রে শাবানাকে দেখা গিয়েছিল। 

ছবিতে খল নায়ক চরিত্রে ছিলেন জসিম - যেন হুবহু শোলের আমজাদ খানের মতন সব কিছু করা। 

হিন্দির পরিবর্তে বাংলা ভাষার ব্যাবহার - এই যা পার্থক্য। 

১৯৭৫ সালের পর থেকে ঢাকার চলচ্চিত্র জগতের মুক্তিপ্রাপ্ত হাতে গোনা কয়েকটি ছবি বাদ দিলে দেখা যাবে বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় হিন্দি, তামিল, তেলেগু, বাংলা ছবির কাহিনী নিয়ে ছবি নির্মাণের হিড়িক চলছিল। 

নকলের পরে এসেছিল অশ্লীলতার স্রোত - অশ্লীল ছবি নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে মহিলা দর্শকরা ছবি দেখা যে ছেড়ে দিল - তারপরে তাদেরকে প্রেক্ষাগৃহে  ফিরিয়ে নেয়া কি সম্ভব হয়েছে! 

শুধু তাই না, পাশাপাশি ঢাকার ছবি থেকে হারিয়ে গেল বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে ছবি নির্মাণের আগ্রহ। অধিকাংশ নির্মাতারা ছুটল নকল ও অশ্লীলতার দিকে।

কয়েক বছরের ব্যবধানে সে দৌঁড় গিয়ে ঠেকল সিনেমার প্রতি দর্শকদের অনাগ্রহ হওয়ার মধ্য দিয়ে।


লেখাঃ লিয়াকত হোসেন খোকন

রূপনগর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

সৌজন্যে বাদুস পরিবার 


বিনোদন ডেস্ক Gwa

Post a Comment

أحدث أقدم