-রেডিও শহর ডেস্ক
কুকুরের পেটে ঘি ভাত হজম হয় না।
আমরা বাঙালি কারো ভালো দেখলে হজম করতে পারি না।
অনন্ত জলিল তুরস্ক, ইরান,মিলিয়ে যৌথ প্রযোজনায় একটা সিনেমা বানিয়েছে।
সেটা দেখে এক শ্রেণীর মানুষের শরীরে ঘা হয়ে যাচ্ছে।
তাদের কথা হলো, ১০০ কোটি টাকা দিয়ে কেনো সিনেমা বানাবে, আন্তজার্তিক মানের কলাকৌশলী নিয়ে কেনো সিনেমা বানাতে হবে।
তারা ৫/১০ লাখ টাকা দিয়ে, ৮০ দশকের লুতুপুত রঙিন রুপবানের মতো নাটক গুলো কে সিনেমা বলে চালিয়ে যাচ্ছে।
অনন্ত যদি ভাল মানের সিনেমা প্রডাকশন করে তাহলে তো তাদের সিনেমার ভাত বন্ধ হয়ে যাবে।
অনন্তর মতো সিনেমা প্রেমীরা যদি BFDC প্রাঙ্গন ছেড়ে দেয়।
তাহলে আগামী ৫ বছরের মাজে বাকি ১০০ হল বন্ধ হয়ে যাবে শিওর।
আপনাদের মতো নেগেটিভ চিন্তার পরিচালকদের জন্যই বাংলা সিনেমা শেষ।
চিন্তা করবেন না, আগামী ৫ বছর পর BFDC তে ছাগল ছরিয়ে খেতে পারবেন, প্রচুর ঘাস হবে।
বাংলা সিনেমায় ভদ্রলোকেরা কেনো আসে না।
সেটার প্রমাণ সবাই পেয়ে গেছে। অনন্ত জলিলের মতো অনেক টাকা ওয়ালা সিনেমা প্রেমী আছে।
কিন্তু তারা বিনিয়োগ করে না, কারন একটাই।
কিছু ছাইপাঁশ আছে যারা কিনা বাংলা সিনেমা ঠিকঠাক মতো হলে চলতে দিবে না, ওরা শুধু নিজের বস্তা পচা সিনেমাই হলে চালাতে চায় এবং অনন্ত জলিলের সিনেমা বিশ্ব মান ও ভালো হলেও নেগেটিভ সমালোচনা করবেই করবে।
টাকা বিনিয়োগ করে, অলাভজনক কে সমালোচনা শুনতে চায়।
এক অনন্ত সাহস করে এসেছিল বিগ বাজেট নিয়ে কিন্তু আমরা থাকে ধুয়েমুছে শেষ করে দিচ্ছি।
আরে ভাই এবার থাম।
আপনাদের ভাবখানা এমন যে, আমাদের BFDC তে সকাল বিকাল হলিউডের সিনেমা তৈরি হয়।
তাই অনন্তর এই সিনেমা হজম করা যায় না।
কই এখনও তো পৃথিবীর সবচেয়ে নিম্নমানের সিনেমা তৈরি হচ্ছে। নাটক বানিয়ে সিনেমা বলে খাওয়াচ্ছে সেগুলো হজম করা কঠিন হলেও খেতে হচ্ছে।
যত দোষ অনন্তর সে কেনো ১০০ কোটির সিনেমা বানাতে গেলো।
অনন্ত কে যদি আমরা উৎসাহিত করি, তাহলে আগামীতে ২০০ কোটি টাকা খরচ করতেও দ্বিধা করবে না।
এখন যদি সমালোচনা করে থামিয়ে দেই তাহলে তার কিছু হবে না।
অনন্তের মতো বিজনেস ম্যান BFDC তে আসে এটাই সৌভাগ্য বলতে পারেন।
إرسال تعليق