-রেডিও শহর ডেস্ক
কথায় আছে প্রেম ভালোবাসা হচ্ছে ক্ষনিকের মোহ যে মোহে কেউ সারা জীবন পাশে থাকে আবার কেউ কেউ তৃষ্ণা মেটানোর জন্য অতীথি পাখির মত জীবনে আসে, এবং মুশকিল নামক ঠাসকিল পিঠে তখনই পড়ে? যখন কিনা! মোহকে অন্ধ মোহে পরিনত করা হয়,
সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশেও ঘটে গেলো এক দীর্ঘ অনলাইন প্রেমলীলা যে প্রেম লীলা অনলাইনে দশ বছর চললেও বাস্তব জীবনে দশদিনও চলেনি কি ঘটেছিলো টানা দশ বছর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত
মেয়েটি শবে মাত্র ফেসবুক ব্যাবহার শুরু করেছিলো পড়াশোনার পাশাপাশি সময় পেলে সে অনলাইনে আসতো এবং তাকে অনেকেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে তিনি সেগুলোর বাচ বিচার ছাড়াই এ্যাকসেপ্ট করে নিতো
এভাবে বেশ কিছুদিন চলার পর হঠাৎ একদিন শৈলেন্দ্র নামের একটি ফেসবুক এ্যাকাউন্ট থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে এবং মেয়েটি সেই এ্যাকাউন্ট রিকোয়েস্ট এ্যাকসেপ্ট করে তাকে বন্ধুর তালিকায় যোগ করেন, এ্যাকসেপ্ট করার বেশ কয়েকদিন কোন হায় হ্যালো আসেনি শৈলেন্দ্রর সেই এ্যাকাউন্ট থেকে
এরপর হঠাৎ একরাতে শৈলেন্দ্রর সেই এ্যাকাউন্ট থেকে একটি হায় মেসেজ আসে মেয়েটির ইনবক্সে এবং মেয়েটি সেই মেসেজ টি চেক করে ছেলেটির প্রফাইল চেক করে দেখতে পায় ছেলেটি দেখতে বেশ হ্যান্ডসম লুকের এবং প্রফাইল চেক শেষ করে ইনবক্সে এসে পাল্টা হ্যালো পাঠায় এরপর ধীরে ধীরে কেমন আছেন থেকে কেমন আছতে গড়ায় তাদের সম্পর্কে এবং বেশ কিছুদিন এভাবে চলার পর এক সময় শৈলেন্দ্র মেয়েটিকে প্রেম প্রস্তাব দেয় এবং সেই প্রস্তাবে মেয়েটিও সাড়া দেয় এরপর টানা চ্যাটিং প্রেম আলাপের পর শৈলেন্দ্র একদিন মেয়েটিকে তার সাথে দেখা করার কথা জানান মেয়েটিকে, মেয়েটি শৈলেন্দ্রর কথা ফেলতে না পেরে দেখা করতে রাজি হন,
এরপর তাদের চ্যাটিং থেকে শুরু করে রুম ডেট অবধি গড়িয়ে যায় সম্পর্ক এবং এভাবেই তাদের সম্পর্ক চলতে থাকে টানা দশ বছর এবং এক সময় মেয়েটির পরিবার মেয়েটিকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকায় মেয়েটি শৈলেন্দ্রকে বিষয়টি জানায় এবং শৈলেন্দ্র বলেন তাহলে চলো, আমরা মন্দিরে যেয়ে বিয়ে করে নেই এবং বিয়ের পর মাস খানেক লুকিয়ে সংসার করো পরিবারকে জানাবো, সহজ মনের মেয়েটি শৈলেন্দ্রর কথায় রাজি হয়ে বলেন সবই ঠিক আছে কখন দেখা করবে? শৈলেন্দ্র বলেন আগামীকালই সকালে আমরা মন্দির পাড়ায় দেখা করবো এবং শোনো আমার তো এখন হাতোর অবস্থা বেশ খারাপ যাচ্ছে তুমি কিছু টাকা আর গহনা নিয়ে এসো, এরপর মেয়েটি রাজি হয়ে বাসা ছাড়ার আগের রাতে তার মায়ের চার লাখ টাকা সম মূল্যের গহনা এবং নগদ কুড়ি হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে সক্কাল সক্কাল লাপাত্তা বনে যান এবং তারা বিয়ে করে ছোট একটি বাসাও ভাড়া নেন কিন্তু বিধিবাম নতূন সংসার দিন পাচেক ভালো কাটার ছ দিনের মাথায়! সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দেখেন শৈলেন্দ্র খাটে খাটে শোয়া নেই শৈলেন্দ্রকে না দেখে মেয়েটি শৈলেন্দ্রর নাম ধরে ডাক দেন এবং শৈলেন্দ্রের কোনো সাড়া না পেয়ে মেয়েটি ঘরময় শৈলেন্দ্রকে খুজতে থাকেন, খুজে না পেয়ে মেয়েটি তার ব্যাগ চেক করে দেখেন ব্যাগে থাকা তার মায়ের টকটি গয়নাও নেই এবং মেয়েটি এগুলো দেখার পর তাৎখনিক শৈলেন্দ্রর ফোনে কল করেন এবং কল করে দেখেন ফোন এর সুইচ অফ।
পরবর্তী সময়ে মেয়েটি তার পরিবারে ফিরে যান এবং ফিরে যেয়ে সমস্ত ঘটনা পরিবারকে জানালে মেয়েটির পরিবার তাদের মেয়েকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী থানায় উপস্থিত হয়ে সব কিছু খুলে বলেন এবং ডিউটিরত অফিসার সব কিছু শোনার পর বলেন? আপনি যে তার সাথে দীর্ঘ দশ বছর সম্পর্কে ছিলেন কখনো কি তার বাড়িতে গিয়েছিলেন? উত্তরে মেয়েটি বলেন না, তবে তাকে তার ঘরবাড়ির ঠিকানা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বলতো সময় হলে বলবো কিন্তু সে কখনোই আর বলেননি
এরপর ডিউটিরত অফিসার মেয়েটির থেকে শৈলেন্দ্রর ছবি এবং সেল নাম্বার নিয়ে বলেন? ঠিক আছে আপনারা এখন আসুন বিষয়টি আমরা দেখার পর জানাচ্ছি।
প্রিয় এমন ঘটনা হতে সাবধান থাকুন
ডেস্ক রিপোর্ট
إرسال تعليق