-রেডিও শহর ডেস্ক
মুনমুন। ইরাকের বাগদাদে জন্ম নেয়া, বনেদী পরিবারের এই মেয়েটির প্রাথমিক শিক্ষা বাগদাদেই। শিশুকাল থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসতেন। মরুভূমির ধুসর জীবনের অনেক ছবি পেন্সিল স্কেচ বা জলরং দিয়ে এঁকেছেন বাল্যকালেই। কিন্তু, নিজ জীবনের ছবিটা কেন জানি ঠিকমতো আঁকতে পারেননি মুনমুন। সংস্কৃতির প্রতি এক দুর্নিবার আকর্ষণ থেকে চলচ্চিত্র পরিচালক হবার স্বপ্ন ছিলো তার। সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজও শুরু করেছিলেন প্রখ্যাত পরিচালক এহতেশামের সঙ্গে। ছিলো অভিনয়ের প্রতিও আগ্রহ। সেই আগ্রহ চোখে পড়েছিলো এহতেশামের। সহকারী পরিচালক থেকে বানিয়েছিলেন নায়িকা। তাই, পরিচালক হবার স্বপ্নটা আর পূর্ণ হয়নি মুনমুনের। কিন্তু, যখন নায়িকা হলেন তখন চলচ্চিত্রে লগ্নিকারকদের লগ্নী কারকদের বানিজ্যিক ধ্যান ধারণাটা ভিন্ন পরিবেশের দিকে বাঁক নিয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি, একশন এবং নাচে পারঙ্গম ছিলেন বিধায় প্রযোজক ও পরিচালকরা এই নায়িকাকে তাদের বানিজ্যিক ধ্যান ধারণা থেকে তৈরি করা চরিত্রে ব্যাবহার করেছেন বেশি। ফলে, অভিনয় গুনের জন্য ঋদ্ধ দর্শকদের প্রশংসা পাননি এই শিল্পী। তিনি হয়ে গেছিলেন এক 'সময়ের' চাহিদা সম্পন্ন নায়িকা। আচরণে ভদ্র, কোমল ও অমায়িক এই নায়িকার জন্ম ৩ জুলাই। তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা মুনমুন।
ছবিঃ মুনমুন। বৃহত্তর সিলেটের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে, গ্রামের পঞ্চায়ত স্বামীর কবরে গিয়ে কান্নাকাটি করার অপরাধে এক নারীর মাথার চুল কেটে, দোররা মেরে গ্রামে একঘরে করেছিলো। সেই ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত নিষিদ্ধ নারী ছবিতে অকপটে নিজের চুল কেটে ফেলেছিলেন মুনমুন। সেই ছবির কটি দৃশ্য। অসহায় শিশুদের পাশে মুনমুন।
ডেস্ক রিপোর্ট
Post a Comment