-রেডিও শহর ডেস্ক
"সূর্য দীঘল বাড়ি"। আন্তর্জাতিক সুনাম নিয়ে আসা বাংলাদেশের এই ছবি'র নায়িকার কথা নিশ্চয় কেউ ভুলে যান নি। ডলি আনোয়ার। অসাধারণ এক অভিনয় শিল্পী। মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র, তিন মাধ্যমেই অভিনয় শিল্পী হিসেবে ছিলো তাঁর দৌর্দন্ড প্রতাপ। ছিলেন লেখক এবং সাংবাদিকও। 'সাতদিন' নামে একটি সাপ্তাহিক সম্পাদনা করেছেন তিনি। "সূর্য দীঘল বাড়ি" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। ব্যাক্তিগত ভাবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার এর অনুষ্ঠানে কাজ করার সময় থেকেই পরিচয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে উনি আমার চলচ্চত্র বিষয়ক প্রধান শিক্ষক আলমগীর কবির'র শ্যালিকা জেনে। হ্যা। উনি ডঃ নীলিমা ইব্রাহিম এর মেয়ে। যেদিন আলমগীর কবির এর মরদেহ এলো, সামলানো যাচ্ছিলোনা ডলি আনোয়ারকে। ডলি আনোয়ার ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর (এম,এ) ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তাঁর প্রথম নাটক "একতলা দোতলা"। প্রথম নাটকে অভিনয় দিয়েই তিনি নজর কাড়েন দর্শকদের। টেলিভিশনের পাশাপাশি মঞ্চেও ছিলেন নিয়মিত। প্রথম ছবি "সূর্য দীঘল বাড়ি" তাঁকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দেয়। কিন্তু অকালে আত্মহনন স্তব্ধ করে দেয়, এই শিল্পীর এগিয়ে যাওয়া। কেন, কী কারণে তার এই আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া, তা আজও রহস্যময় সংস্কৃতি অংগনের মানুষের কাছে। তাঁর জন্ম এবং মৃত্যু তারিখের ব্যাবধান মাত্র একদিনের। ১৯৯১ সালের ৩ জুলাই, তিনি আত্মহত্যা করেন। ১৯৪৮ সালের পহেলা জুলাই যশোরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ডলি আনোয়ার এর জন্মদিন এবং বেদনাদায়ক প্রয়ান দিনের আগে, তাঁর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। তাঁর আত্মা যেন শান্তিতে থাকে।
ডেস্ক রিপোর্ট Gwa
সৌজন্যে ফেসবুক গ্রুপ বাদুস
إرسال تعليق