-রেডিও শহর ডেস্ক
মনে পড়ে
সুলতানাকে?
সুলতানার ঢাকার চিত্র জগতে আগমন
ঘটেছিল ১৯৬৩ সালের দিকে - তখন তাঁর বয়স ছিল ষোল কি সতেরো।
তিনি নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলেও
বেশ কিছু ছবিতে সহ নায়িকা ও পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে বাংলাদেশের সিনেমা
প্রেমিকদের মন জয়
করে নিয়েছিলেন।
সুলতানা অভিনীত ষাটের দশকের উল্লেখযোগ্য কিছু ছবি হলো -
অপরিচিতা, ডাকবাবু, নবাব সিরাজউদ্দৌলা, চকোরী, রহিম বাদশা ও রূপবান, রাজা সন্ন্যাসী, ছোটে সাহেব,
সাইফুল মুলক বদিউজ্জামাল, মধুমালা, জংলী ফুল, সপ্তডিঙ্গা, ভাগ্যচক্র, অশান্ত প্রেম, দিল এক শিশা, মানুষ অমানুষ,
সুয়োরানী দুয়োরাণী, কুচবরণ কন্যা, দুই ভাই, সপ্তডিঙ্গা, আগন্তুক, পদ্মা নদীর মাঝি, যে আগুনে পুড়ি, মিশর কুমারী - ইত্যাদি।
তবে এরমধ্যে - " মিশর কুমারী " ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭০ সালে।
'সপ্তডিঙ্গা' ছবিতে সুলতানার নায়ক ছিলেন -
শামীম।
সত্তুর ও আশির দশকে ও এরপরে সুলতানা অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হলো ঃ
আঁকাবাঁকা, বিনিময়, সমাধান,
প্রতিশোধ, রক্তাক্ত বাংলা, বলাকা মন, বেঈমান, সোহাগ, সারেং বউ, আবার তোরা মানুষ হ, মেহেরবান, মধুমতী, দি ফাদার,
নওজোয়ান, রূপের রাণী চোরের রাজা, মধুমিতা,
রাজমহল, ওয়াদা, বুলবুল - এ - বাগদাদ, পাগলা রাজা, রাজকুমারী চন্দ্রবান, আমির ফকির, বউ কথা কও,
সাক্ষী, প্রেম নগর, আয়নামতি, রাই বিনোদিনী,
প্রাণ সজনী, খোকন সোনা, নাত বউ, রেশমী চুড়ি -
ইত্যাদি।
এমন বরেন্য অভিনেতা অভিনেত্রীদের আজ কারোরই মনে নেই মনে নেই তাদের স্বর্ন যুগের সোনালী পোস্টারে যত্নে আকা মুখ গুলো, কালের বিবর্তনে যে সব কিছুই হারিয়ে যায়! সেটা হয়তো সবারই জানা,তবে? দিনশেষে গণমাধ্যম কর্মীদের উচিত এসব মানুষের কর্ম সম্পর্কে তরুন প্রজন্মকে জানান দেয়া৷
ডেস্ক রিপোর্ট
ছবি ঃ সুলতানা।
Post a Comment