-রেডিও শহর ডেস্ক আজ ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। কোল, ভিল আর সাঁওতাল। আর্যদের আসার আগে পর্যন্ত তারাই ছিলো এই উপমহাদেশের আদি বাসিন্দা। বৃটিশ আমলে জমিদার বা ভূস্বামী দের অত্যাচারে ফুঁসছিল ওরা। জুলুম, অত্যচার, হত্যা, নির্যাতনে অতিষ্ঠ সাঁওতালেরা ভেতর ভেতর একত্রিত হচ্ছিলো। ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ জুন সিধু ও কানুর নেতৃত্বে ভাগনাদিহির মাঠে ১০ হাজার সাঁওতাল সমবেত হয়েছিল। বিদ্রোহ করেছিল। সেই বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে অবিভক্ত বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। ওদের বিদ্রোহে পালিয়ে গেছিলো ভূস্বামীরা। বিশাল এক বাহিনী পাঠিয়েছিল ইংরেজ সরকার। সেই গোলন্দাজ বাহিনীর সঙ্গে সাঁওতালদের তীর ধনুকের লড়াই আজও ইতিহাস হয়ে রয়েছে। হাজার হাজার সাঁওতাল আত্মাহুতি দিয়েছে এই অসম যুদ্ধে। পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে অগণিত সাঁওতাল নারী। কানুর বোন ফুলমণিকে পাশবিক নির্যাতনের পর মৃত অবস্থায় রেললাইনের পাশে ফেলে রাখে বৃটিশ পুলিশ। ফুলমণিকে নিয়ে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের একটি গান আজও তাদের মধ্যে জনপ্রিয়। সিধু আর কানু'র ফাঁসী দিয়েছিলো ইংরেজরা। সাঁওতাল বিদ্রোহের সেই বীরদের প্রতি জানাই শ্রদ্ধা।
ছবিঃ (উপরে) সাঁওতাল বিদ্রোহ নিয়ে আঁকা অনেক তৈলচিত্রের দুটি। (নিচে) কানু, সিধু ও বির্ষা।
ডেস্ক রিপোর্ট
সৌজন্যে বাদুস
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন