ক্রিয়েটিভিটির স্পর্শে মানষিক রোগ.....

ক্রিয়েটিভিটির স্পর্শে মানষিক রোগ.....


-রেডিও শহর ডেস্ক
 

যত দিন যাচ্ছে ততই যেন সোস্যাল মিডিয়া গুলো উন্নতির শিখরে পৌছে যাচ্ছে দ্রুততার সাথে এবং তারা তরুন সমাজকে দিচ্ছে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা ব্যাবহারে  এসব সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলো তাদের প্লাটফর্ম থেকে টাকা আয়েরও একটি জায়গা রেখেছে, এবং এসব প্লাটফর্ম থেকে তারা! শুধু মাত্র কন্টেন্ট ক্রিয়েট করেই প্রতি মাসে ভালো একটি এ্যামাউন্ট পেয়ে থাকে....

তবে কথায় আছে?
হিতে যেন বিপরীত না হয় লোভ সামলিয়ে ব্যাবসা....


কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে সবচেয়ে বেশি রোজগারের মাধ্যম গুলো হচ্ছে! ইউটিউব ফেসবুক লাইকি এবং টিকটক
এসকল প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে ইউটিউব পোগ্রামিং সব চেয়ে বেশি হার্ড - অর্থাৎ তাদের আর্নি কন্ডিশন টার্গেট অনেক বেশি হার্ড, আর তাই! এ প্লাটফর্মে আজকাল তরুন সমাজ অর্থ লগ্নি করে কন্টেন্ট ক্রিয়েশনের  ক্ষেত্রে অনেক বেশি অনিচ্ছুক....

এখন আসা যাক ফেসবুক আর্নিং পোগ্রামিং এর বিষয়ে
ফেসবুক যেন ইউটিউবের চেয়ে আরও বেশি হার্ড তাদের আর্নি কন্ডিশন টার্গেটের বিষয়ে - একটু জানা যাক ফেসবুক আর্নি টার্গেট সম্বন্ধে // ফেসবুক আর্নি টার্গেটের মধ্যে দুটি বিষয় বিভক্ত তার মধ্যে অন্যতম হলো! গেমিং....আপনি যদি গেমার হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে ফেসবুক গেমিং পার্টনার লেভেল আপ পোগ্রামে জয়েন করে দু মাসে মধ্যে ছয় লক্ষ্য মিনিট এবং দশ হাজার ফলোয়ার পেজে দেখাতে হবে, আর যদি দেখাতে না পারেন এবং আরও বেশি সময় নিয়ে এগুলো পূরন করে এ্যাপলাই করেন,  সে ক্ষেত্রে ফেসবুক বিবেচনা করে আপনাকে মনিটাইজ দিতেও পারে নাও দিতে পারে, আর এ জন্য ফেসবুক কন্টেন্ট ক্রিয়েশনে মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত শ্রেনীর তরুনরা যথেস্ট অনিহা দেখি লাইকি ও টিকটকের মত প্লাটফর্ম গুলো বেচে নেয় মানি আর্নের জন্য। 

কারনঃ
লাইকি টিকটকে কন্টেন্ট ম্যাকিংয়ে ইউটিউব বা ফেসবুকের ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন এবং ডিউরেশন কন্ডিশনও খুব সামান্য, এক কথায় বলতে গেলে! জাস্ট ফোন ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে ১৫ বা ২০ সেকেন্ডের ভিডিওতেই কন্টেন্ট রেডি ( খরচ বিহীন

আর এসব কারনেই দেশের তরুন সমাজ 
লাইকি ও টিকটকে সবচেয়ে বেশি স্বরব থাকে মানিং আর্নের আশায় এবং তারা এটাও জানে নিয়মিত এসব প্লাটফর্মে সময় দিলে খুব একটা কঠিন কিছু নয় মানি আর্ন টার্গেটে পৌঢ়তে। 

একজন স্টুডেন্ট টিকটকার এর সাথে কথা হয় রেডিও শহর বিনোদন ডেস্ক রিপোর্টার গানওয়ালা আসিফের এবং তিনি সেই টিকটকারকে টিকটক কন্টেন্ট ম্যাকিং নিয়ে বলেন! আপনি যে নিয়মিত টিকটিক কন্টেন্ট ম্যাক করেন তাতে আপনার লেখা পড়ায় কোনো প্রভাব পড়েন? এবং পরিবার থেকে কোনো কিছু বলেনা? 

উত্তরে তিনি বলেন!
রেগুলার টিকটক কন্টেন্ট ম্যাক করতে গিয়ে! গতবার আমার Exam প্রিপারেশন খুবই বাজে ছিলো এবং খুব ভালো কিছু করতে পারিনি ঐ Exam এ আমি এবং এ কারনে আমার পরিবার থেকে অনেক রাগারাগি করেছিলো আমার আব্বু, আব্বু রাগারাগি করার কারনে আমি টয়লেটে যেয়ে হারপিক খেয়ে অসুস্থ হয়ে দুদিন হসপিটালাইজড ছিলাম....

আমাদের সকলের জন্য 
এমন ঘটনা শিক্ষানীয় হতে পারে 
এবং আমরা সকলেই হয়তো জানি!
লাইকি টিকের আড়ালে অনেক তরুন তরুনী আজ
 পথভ্রষ্ট হয়ে অপরাধের মত বিষয় গুলোতে জড়িয়ে পড়ছে....

আসুন........

ভার্চুয়াল জগৎটিকে আমরা!
নিয়ম মাফিক ব্যাবহার করি এবং
শারীরিক ও মানষিক ভাবে সকলে ভালো ও সুস্থ থাকি


বিনোদন ডেস্ক 
Ganwala asif







Post a Comment

Previous Post Next Post