//একাত্তরের কন্ঠ যোদ্ধা//

//একাত্তরের কন্ঠ যোদ্ধা//


-রেডিও শহর ডেস্ক
 

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস ছিল ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ। একদিকে স্বজন হারানোর বেদনা, অন্যদিকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের পরাজিত করার আনন্দ। যুদ্ধের ময়দানে অ স্ত্রশস্ত্রে পিছিয়ে থাকলেও মনের জোরে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। 


তাঁদের মনের জোর আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ‘চরমপত্র’ অনুষ্ঠানটি। 


মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেওয়ার পাশাপাশি এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশের শত্রুকবলিত এলাকার জনগোষ্ঠী ও ভারতে অবস্থানরত বাঙালি শরণার্থীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো।


এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিদিন গল্পের ছলে দুরূহ রাজনীতি ও রণনীতি ব্যাখ্যা করা ছাড়াও রণাঙ্গনের সর্বশেষ খবরাখবর সহজ, সাবলীল ও ব্রাত্যজনের ভাষায় অত্যন্ত নিষ্ঠা ও মুন্সিয়ানায় উপস্থাপন করতেন এম আর আখতার মুকুল।


১৯৭১ সালের মে থেকে ডিসেম্বর। এই আট মাস বাংলাদেশের যুদ্ধরত মুক্তিকামী মানুষ স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের ‘চরমপত্র’ শুনে আলোড়িত, আন্দোলিত উজ্জীবিত হতো। 


২৫ মে স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্র চালু হওয়ার দিন থেকে ‘চরমপত্র’ পাঠ শুরু হয়। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়ের দিনে ‘চরমপত্র’র শেষ পর্ব সম্প্রচারিত হয়। তখন মানসম্মত রেকর্ডিং স্টুডিওর অভাবে টেপ রেকর্ডারে 'চরমপত্র' রেকর্ডিং করা হতো এবং ৮-১০ মিনিটের এই টেপ নিয়মিতভাবে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের ট্রান্সমিটার থেকে প্রচারিত হতো।


ছবি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাজউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে এম আর আখতার মুকুল। ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ সাল। ধানমনডি, ঢাকা।


আজ ২৬ জুন। আজ এম আর আখতার মুকুল-এর ১৮ তম প্রয়াণ দিবস। ১৮ বছর পূর্বে আজকের দিনে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন এই গুণী মানুষ।


প্রয়াণ দিবসে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। 


ডেস্ক রিপোর্ট 

সৌজন্যে  বাদুস

Post a Comment

Previous Post Next Post