-রেডিও শহর ডেস্ক
আশির দশকের হাস্যোজ্জ্বল একটি দুর্লভচিত্রে দ্রোহ ও প্রেমের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ৷
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশি প্রতিবাদী রোমান্টিক কবি, স্বৈরাচারবিরোধী লেখক, সংগঠক, সম্পাদক ও গীতিকার । রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ মূলত কবি হলেও কাব্য চর্চার পাশাপাশি সঙ্গীত, নাটক, ছোটগল্পের ক্ষেত্রেও ছিলেন সমান উৎসাহী । রুদ্র চেয়েছিলেন বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠুক । ফলে ব্যক্তি রুদ্র ও কবি রুদ্রের সমগ্র শিল্প সাধনা ছিল দেশ, মানুষ ও মানুষ্যত্বের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ । রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র জন্ম ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই অক্টোবর বরিশাল রেডক্রস হাসপাতালে ।
তিনি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সম্পাদক । তিনি স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন । তিনি ‘প্রতিবাদী কবি’ হিসেবে খ্যাত । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, দেশাত্মবোধ, গণআন্দোলন, ধর্মনিরপেক্ষতা, ও অসাম্প্রদায়িকতা তার কবিতায় বলিষ্ঠভাবে উপস্থিত ।
এছাড়া স্বৈরতন্ত্র ও ধর্মের ধ্বজাধারীদের বিরুদ্ধে তার কণ্ঠ ছিল উচ্চকিত । কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠে যে কজন কবি কবিতাকে শ্রোতৃপ্রিয় করে তোলেন, তিনি তাদের অন্যতম ৷ তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ৩৪ বছরের স্বল্পায়ু জীবনে “বাতাসে লাশের গন্ধ” সহ সাতটি কাব্যগ্রন্থ, গল্প, কাব্যনাট্য এবং "ভালো আছি ভালো থেকো"সহ অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন ৷
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিখ্যাত ও বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে বিয়ে করেন ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে । কিন্তু তাঁদের এই দাম্পত্য দীর্ঘস্থায়ী হয় না, ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে ঘটে বিবাহ বিচ্ছেদ । কয়েক বছর পর ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের এইদিনে মৃত্যুবরণ করেন কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ।
আজ দ্রোহ ও প্রেমের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র প্রয়াণবার্ষিকীতে জানাই অশেষ শ্রদ্ধা ও সম্মান ৷
ডেস্ক রিপোর্ট
Post a Comment